নিজেকে লাগছে ঈশ্বরের মতো বেশ!

আমাদের চাওয়ার শেষ নেই। আমরা এটা চাই, ওটা চাই, সেটা চাই। চাইতে চাইতে কখনো কখনো নিজেরাই জানিনা আসলে আমরা কি চাই। ভেবে দেখলাম, আসলে আমরা ঈশ্বর হতে চাই। আমরা ঈশ্বরের মতো অনন্তকাল জীবন পেতে চাই। যে জীবনের শেষ নেই। তাই আমাদের অস্তিত্ব হারানোর ভয়ও নেই।

বেহেস্তে হোক বা দোজখে হোক,

কোনো এক যায়গায় থাকি।

নিজের অস্তিত্ব টিকে থাকবে

এটা জেনেই আমি খুশি।

আমি মুমিন মুত্তাকি।

আমার নেইকো শেষ।

নিজেকে লাগছে ঈশ্বরের মতো বেশ!

Knowledge, Skills & Attitudes

To be a good citizen, you have to prepare yourself to do good work in society. Well, then how can you prepare yourself?

First, you need knowledge. Today's society is knowledge-based. Without having knowledge of modern sciences, technologies including ICT and other necessary subjects, you will have difficulty living a good life. The other areas you, as a good citizen, should have knowledge about are:
  • our country, its constitution, geography and people
  • our state, its executive and legislative powers
  • our judicial system
  • our government and its structures and functions
  • our history, cultures, traditions, literature, moral values and religions
  • our socio-economic activities and educational system
Second, you need skills to do things. Knowledge is not enough. You must be able to apply your knowledge to do things practically.

Finally, knowing and doing things will bring about a change in your behaviour towards others. This behavioural change will show your attitudes towards others, that is, it will show how you think and feel about a person or thing.
Let's take an example. Suppose you, as a student, need to know about 'group work' in the classroom. So you ask yourself or your teacher or anyone else, "What is group work?" Or you may find about it in a book. In this way, you may know, or you may have the knowledge about group work. To do group work, the class has to be divided into groups. Each group is to do some tasks given by the teacher or in the textbook. The group members will discuss and share ideas and points, and finally one member will write the answers.

Then you start working in groups. In each group you take turns discussing points and answering questions. In this way you can actually do the task. Your teacher may monitor and help you to do the work.

Lastly, through regular group work it is expected that there will be noticeable changes in your behaviour. Possible changes are:
  • You will develop the skill of speaking freely in English with your classmates and teacher.
  • Your shyness will gradually disappear.
  • You will develop the attitude of helping and cooperating with each other.
  • You will learn to behave in a democratic way.
Most importantly, these behavioural changes taking place in you inside the classroom will be carried over outside the classroom in real-life situations

© English for Today, Unit 1, Lesson 2, class 9-10, edition 2018.

তার চেয়ে তো নরকই ভাল

মৃত্যুর অব্যবহিত পরক্ষনেই জয়ান নিজেকে খুবই অভিজাত জায়গায় আবিষ্কার করল। যেখানে ছিল সকল ধরণের সুবিধা ও সৌন্দর্য যা এতদিন শুধু পাওয়ার কল্পনাই করত সে। সাদা পোশাকধারী একজন এসে তাকে বলে গেল ‘এখানকার যাবতীয় সকল কিছুর উপরেই আপনার অধিকার, আপনার ইচ্ছামত আপনি খাদ্য, পানীয়, আনন্দ সবকিছু গ্রহন করতে পারেন।’

বিষ্ময়াভুত জয়ান সব কিছুই উপভোগ করল যা সারাজীবন সে কল্পনাই করে আসছিল। কয়েক বছর আনন্দ উপভোগের পর সে ক্লান্ত হয়ে সাদা পোশাকধারীকে বলল, ‘আমি যা চেয়েছিলাম তার সবকিছুই উপভোগ হয়ে গেছে। এখন এসবকে অর্থবহ ও বেশি উপভোগ্য করতে আমি কোন কাজ করতে চাচ্ছি।’

‘আমি খুব দুঃখিত’ বলল সাদা পোশাকধারী, ‘এখানে সবই পাবেন, শুধু এই সুবিধা পূরণের ব্যবস্থা এখানে নেই।’ ‘কি সাংঘাতিক’ জয়ান বিরক্তের সাথে জবাব দেয়, ‘তাহলে কি আমি শুধুমাত্র বিছানায় বসে এই অন্তহীন সময় কাটাব? এর চেয়ে নরকই তো ঢের ভাল’

সাদা পোশাকধারী তৎক্ষণাৎ গলা নিচু করে জয়ানের কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল, ‘তাছাড়া আপনি কোথায় আছেন বলে আপনার মনে হচ্ছে?’

© পাওলো কোয়েলহোর ক্ষুদে গল্প, আই উড রেদার বি ইন হেল

ঘড়ির কাঁটা টিক টিক

ছোট বেলায় পড়া-লেখার তেমন চাপ ছিল না। এছাড়া এখনকার মতো তখন স্মার্ট ফোনও ছিল না। তাই রাতে দ্রুতই ঘুমিয়ে যেতাম। কখনো কখনো হয়তো সন্ধা হওয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে যেতাম। তো কোনো কোনো সময় রাত দুপুরে ঘুম ভেঙ্গে যেত। চারপাশে নিঃশব্দ। এই নিঃশব্দের মধ্যে একটা শব্দ শোনা যেত। শব্দটা দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটা থেকে আসত। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ। রাতে ঘুম ভাঙ্গার পর পরই এই শব্দটা শুনতে পেতাম। প্রথমে শব্দটা খুব আস্তে আস্তে শোনা যেত। কিন্তু যখন খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাম শব্দটা আরো জোরে ও স্পষ্ট শোনা যেত। মনে হত ঘড়িটা এখন আর দেওয়ালে টাঙানো নেই। কেউ ঘড়িটা দেওয়াল থেকে খুলে এনে আমার কানের পাশে ধরে রেখেছে। খুবই ভয় করতো তখন। এই শব্দটার সাথে কখনো কখনো আরো দু'একটা শব্দ যোগ হতো। কখনো ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ বা কখনো দূর থেকে ভেসে আসা কুকুরের ডাক। ফলে ভয়ের পরিমাণটা আরো বেড়ে যেত। তাই তখন দ্রুত ঘুমানোর চেষ্টা করতাম। কাঁথা দিয়ে কান পেচিয়ে ধরতাম যেন শব্দ কানে না আসে। যখন এসবেও কাজ হতো না তখন মা'কে ডেকে তুলতাম। ভয়টা একটু কমতো। ফলে আবার ঘুমাতে পারতাম। এখন বড় হয়ে আর দ্রূত ঘুমানো হয় না। তাই রাত দুপুরে ঘুমও ভাঙ্গে না এবং ঐ মূহুর্তটাও আর আসে না। এছাড়া ছোটবেলার মতো ঐ ভয়ও কাজ করে না। তাই ছোট বেলার ঐ মূহুর্তটা খুবই মিস করি।

অধিবর্ষ কি? অধিবর্ষ কেন হয়?

অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার হলাে একটি বিশেষ বছর যাতে সাধারন বছরের তুলনায় একটি দিন বেশি থাকে।

পৃথিবী সূর্যের চারপাশে অর্থাৎ নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণনের উপরই ঋতুর পরিবর্তন ও অন্যান্য মহাজাগতিক ঘটনাবলী পুনরাবৃত্তি ঘটে।

প্রচলিত বর্ষপঞ্জিতে ৩৬৫ দিনে ১ বছর ধরা হয়। অর্থাৎ প্রতি বছর মহাজাগতিক ঘটনাবলি ঘটার পরিবর্তনের সময় ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। প্রচলিত বর্ষপঞ্জি গুলাে এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ঋতু গুলাে তাদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারাবে। যেমনঃ শীতকালের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পরিবেশ ঠাণ্ডা থাকবে অর্থাৎ পরিবেশের তাপমাত্রা কম থাকবে এবং সূর্য অল্প সময় ধরে কিরণ দেবে। মনেকরি, প্রচলিত বর্ষপঞ্জি ১০০ বছর ধরে চলতে থাকল। তাহলে ১০০ বছর পর দেখা যাবে মহাজাগতিক ঘটনাবলী ঘটার পরিবর্তনের সময় (প্রায়) ২৪ দিন ৫ ঘন্টা ১৪ মিনিট ২০ সেকেন্ড যা প্রায় এক মাসের সমান। অর্থাৎ ১০০ বছর পর দেখা যাবে শীত ঋতু আসার ১ মাস আগেই শীতের বৈশিষ্ট্যগুলাে প্রকাশ পেয়েছে এবং শীত ঋতু যাওয়ার ১ মাস পূর্বেই শীতের বৈশিষ্ট্য চলে গিয়েছে।

উপরােক্ত সমস্যা সমাধানের জন্যই অধিবর্ষ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচলিত বর্ষপঞ্জিতে ৪ বছরে মহাজাগতিক ঘটনাবলী ঘটার পরিবর্তনের সময় প্রায় ১ দিনের সমান। তাই প্রতি চার বছর পর পর অধিবর্ষ গণনা করা হয়।

হে মহান মনীষী!

বেত্রাঘাত করিয়া শিক্ষক
ছুলিয়া নিলেন ছাল।
আজ বুঝি ছাত্রের
ঘুম হবে না রাতে
নিয়েও ব্যাথার উপশম।

এক যুগ পর ছাত্র ভাবিয়া কয়,
হে মহান মনীষী,
কেন দিলে না আর দুটো বারি!
তাহলে হতাম আজ
অফিসের পিয়ন থেকে সেক্রেটারি।

তুমিও অনেক এগিয়ে!

পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বা ভালো ফলাফল করতে না পারায় আত্মহত্যা। প্রতিবারই বোর্ড পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এই ধরনের ঘটনা শোনা যায়। আমার কাছে এগুলো খুবই বোকামি মনে হয়।

আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন, জীবনের জন্য সবকিছু নাকি সবকিছুর জন্য জীবন? নিশ্চয়ই জীবনের জন্য সবকিছু। বেঁচে থাকলে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব। আর ব্যার্থতা জীবনেরই অংশ। সব মানুষই চায় সফল হতে। কিন্তু সবাই কি সফল হতে পারে? না, পারে না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আরেকটা প্রশ্ন, বোর্ড পরিক্ষার ফলাফল (এসএসসি, এইচএসসি বা ভর্তি পরীক্ষা) কী এত বড় মহা কিছু যে এতে পাশ করলে বা ভালো ফলাফল করলে জীবন সফল? না, নিশ্চয়ই না। কিছু মহান মনীষীদের জীবনী পড়ে দেখো তারা অনেকেই পরিক্ষায় পাশ পর্যন্ত করতে পারেনি। তাই বলে কি তারা হাল ছেড়ে দিয়েছে। না দেয়নি। তারা ব্যার্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে এবং সফল হয়েছে।

কেউই সব দিক দিয়ে প্রতিভাবান হয় না। পাঠ্য বইয়ের প্রতি তুমি মনোযোগী ছিলে না তাই হয়তো ভালো ফলাফল করতে পারোনি বা অকৃতকার্য হয়েছো। কিন্তু কোনো না কোনো দিক দিয়ে তুমি মনোযোগী ছিলে। সেটা গান গাওয়া হতে পারে, ছবি আঁকা হতে পারে বা খেলার মাঠের ক্রিকেট-ফুটবল খেলা হতে পারে। কোনো না কোনো দিক দিয়ে তুমি নিশ্চয়ই জিনিয়াস। এখন মনে কর তোমার স্কুলে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেটায় তুমি অনেক পারদর্শী। তোমার ক্লাসের সবাই উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলো। তুমি খুব সহজেই উক্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করলে। কিন্তু তোমার একজন সহপাঠী উক্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়েছিল। তাই লোক লজ্জায় সে আত্মহত্যা করলো। কিন্তু সে অন্য একটি দিক দিয়ে খুবই প্রতিভাবান ছিলো। তার এই আত্মহত্যাটা কী তোমার কাছে বেমানান মনে হবে না?

উক্ত ঘটনাটিই তোমার পরিক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর আত্মহত্যা করার চিন্তার সাথে তুলনা করে দেখো তোমাকেও কত বড় বোকা মনে হবে। পরিক্ষায় গোল্ডেন প্লাস পাওয়া সহপাঠীর সাথে তোমার তুলনা করে দেখো তুমি তার চেয়ে অনেক এগিয়ে!

বিদায়ী অনুষ্ঠানে আমার বক্তৃতা

২০১৯ সালে কাঁঠালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমি এসএসসি পরীক্ষা দিই। এসএসসি পরীক্ষার কিছু দিন আগে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে আমি নিম্নোক্ত বক্তৃতা দিই।

উপস্থিত আজকের বিদায়ী অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রিয় সহপাঠী বন্ধুগন, অত্র ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ সকলকে আসসালামুয়ালাইকুম।

প্রিয় উপস্থিত, আজকে কিছু বলতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রথম দিনটির কথা মনে পড়ে যায়। বাবা প্রথম দিন এসে বিদ্যালয় ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান। সেদিন ভাবছিলাম এত বড় স্কুল, এতগুলো শিক্ষক, এতগুলো শিক্ষার্থী, এদের সবাইকে কি আপন করে নিতে পারব? কিন্তু আজকে, এদেরকে এতটাই আপন করে নিয়েছি যে কোনদিনও ভুলতে পারবো না। একদিন এই বিদ্যালয়টি চিনতাম না, বিদ্যালয় আসার মেঠো পথটিও চিনতাম না। এরপর চিনলাম, পরিচিত হলাম, কত স্মৃতি জড়ালাম। আর এখন এসব কিছুকে আবার ভুলে থাকতে হবে। ভাবতেই কেমন যেন গা শিউরে উঠে!

প্রিয় উপস্থিত, আমাদের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা শতভাগ পাস ও একটি ভাল রেজাল্ট উপহার দিতে পারি। আমাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্যও দোয়া করবেন যাতে আমরা নিজেদেরকে যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি এবং দেশ ও দশের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে পারি। আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি, আসসালামুয়ালাইকুম।